Health & Personal Care

বাসর রাতে যা করতে হয়



বাসর রাতের একান্ত নির্জন পরিবেশে যখন বর-কণের মাঝে প্রচন্ড মিলন স্পৃহা সৃষ্টি হবে তখন সহবাসের পূর্বক্ষণে তিনবার বিসমিল্লাহ সহ সূরায়ে ইখলাছ এবং সূরায়ে ফালাক ও সূরায়ে নাস পড়ার পর নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে অতঃপর সহবাসে লিপ্ত হবে।” بِسْمِ اللَّهِ ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ ، وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا“অর্থঃ “আল্লাহ'র নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ! আমাদেরকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে দূরে রাখুন। আমাদেরকে যে সন্তান-সন্ততি দান করবেন, তাদেরকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে দূরে রাখুন।"
তারপর বীর্যপাতের সময় বীর্যপাতের দোয়া মনে মনে পড়বে।
যার অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমাদের যে সন্তান দান করবেন তাতে শয়তানের কোন অংশ রাখবেন না।”
তাহলে হাদীসের ভাষ্যানুসারে সে সহবাস দ্বারা সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে শয়তান তার কোন অনিষ্ট সাধন করতে পারবে না।


শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ) বলেন, এ দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, সহবাস-কালীন সময়ে এই দোয়া না পড়লে শয়তান প্রভাব বিস্তার করে এবং সন্তান-সন্ততির ভিতর অশান্তি ও হানাহানি সৃষ্টি হয়। [রিফাল মুসলিমীন]।

সহবাসের সময় স্বামী-স্ত্রী একেবারে বিবস্ত্র হয়ে যাবে না। কারণ, এতে সন্তান নির্লজ্জ হয়ে জন্মগ্রহণ করে।
নবীজী (সাঃ) সহবাসের সময় নিজেকে এবং স্ত্রীকে আপাদ মস্তক চাদর কিংবা কোন কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতেন।
কথা বলতেন ক্ষীণ কন্ঠে।
আর স্ত্রীকে বলতেন, উত্তেজিত হবে না।
ধীরস্থির থাকবে।
নবীজী (সাঃ) আরো বলেছেনঃ
জানোয়ারের মত হঠাৎ করে স্ত্রীর উপর কেউ ঝাঁপিয়ে পড়বেনা, বরং তার উচিত হলো প্রথমে স্ত্রী'কে চুমু খেয়ে আলিঙ্গন করবে এবং মিষ্টি মধুর কথায় তাকে আগ্রহী করে তোলা। বীর্যপাতের পর সাথে সাথে স্বামী সরে যাবে না বরং ঐ অবস্থাতেই কিছুক্ষণ স্ত্রী'র উপর পড়ে থাকবে।
যাতে স্ত্রীর চাহিদা পুরা হয়ে যায়।
কেননা কোন কোন মহিলার কামসূখ দেরীতে হয়। উভয়ের হক পুরাপুরি আদায় করা উচিৎ।
তারপর স্বামী-স্ত্রী উভয়েই আলাদা আলাদা কাপড় দিয়ে লজ্জাস্থান মুছে পৃথক হয়ে যাবে।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের ইসলামী নিয়মানুযায়ী চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।



No comments

Powered by Blogger.