Health & Personal Care

সহবাসের সময় স্বামী-স্ত্রী বিবস্ত্র হওয়া



এটা হল লজ্জাশীলতার পরিচয়।
শরীয়তে তা হারাম নয়।
ঘর বা রুম বন্ধ থাকলে এবং সেখানে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ না থাকলে পর্দার দরকার নাই।
স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের লেবাস।
উভয়ে উভয়ের সব কিছু দেখতে পারে।
মহান আল্লাহ বলেছেনঃ
"যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।   অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।"
***সুরা মুমিনুনঃ আয়াতঃ ২৩:৫-৭।
"এবং যারা তাদের যৌন-অঙ্গকে সংযত রাখে; কিন্তু তাদের স্ত্রী অথবা মালিকানাভূক্ত দাসীদের বেলায় তিরস্কৃত হবে না। অতএব, যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে, তারাই সীমালংঘনকারী।"
***সুরা মাআরিযঃ আয়াতঃ ৭০:২৯-৩১।
[মালিকানাভূক্ত দাসী বলতে আমাদের বাড়ী-ঘরে কাজের মেয়ে নয় বরং জিহাদের ময়দানে বন্দীকৃত নারীদেরকে গনিমতের মাল হিসাবে ধরা হয়েছে। ঐ ব্যবস্থা রহিত করা হয়েছে]। 

স্বামী-স্ত্রী বিবস্ত্র হয়ে সহবাস করতে শরীয়তে কোন বাধা নাই এবং একে অপরের গোপন অংগ দেখতে পারবে।
***ফাতওয়া ইবনে উসাইমিন।
রাসুল(সাঃ) বলেছেনঃ 
"তুমি তোমার স্ত্রী ও দাসী ছাড়া অন্যের নিকটে গোপনাংগের হেফাজত কর। 
সাহাবী বললেনঃ
হে রাসুল (সাঃ)! লোকেরা আপোসে এক যায়গায় থাকলে? 
তিনি বললেনঃ
যথাসাধ্য চেস্টা করবে, কেউ যেন তা মোটেই দেখতে না পারে। 
সাহাবী বললেনঃ
হে রাসুল (সাঃ)! কেউ যদি নির্জনে থাকে? 
তিনি বললেনঃ
মানুষ অপেক্ষা আল্লাহ বেশী হকদার যে, তাকে লজ্জা করা হবে।" 
***আবু দাউদ, তিরমিজী, ইবনে মাজাহ, মিশকাতঃ ৩১১৭।

মন্তব্যঃ 
স্বামী তার স্ত্রী'কে যেভাবে খুশী ব্যবহার করবে এতে কোন বাধা নাই।
তবে যোনী পথ ছাড়া পায়ু পথ ব্যবহার করা হারাম।

No comments

Powered by Blogger.